জেরুসালেমকে ইসরাইলি রাজধানীর স্বীকৃতি দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া
১৬ অক্টোবর, বিবিসি : জেরুসালেমের স্বীকৃতির প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথেই হাঁটতে চাইছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেছেন, জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাববে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ইসরায়েলস্থ রাজধানী তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবা হবে। তবে কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের মন্ত্রিসভা ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মরিসন। একে ধোঁকাবাজি বলে আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। এর আগে মরিসনের পূর্বসূরী ও সাবেক অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলস্থ মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। এবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলছেন, দুতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মরিসন বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে এটা ভালোভাবে কাজ করছে না, এ ব্যাপারে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি।’
মরিসন জানান, একইসঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন বজায় রাখা এবং জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া-দুটোই করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনি রাজধানী আর পশ্চিম জেরুসালেমকে ইসরায়েলি রাজধানীর স্বীকৃতি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
স্কট মরিসন বলেছেন, জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের ধারণাটি তাকে দিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেভ শর্মা। বিরোধীদের অভিযোগ, ইহুদি অধ্যুষিত এলাকায় ভোট পেতে ‘অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিপজ্জনক ও ধোঁকাবাজিপূর্ণ শব্দ খেলায় মেতেছেন’ মরিসন।